Tuesday, November 12, 2013

শিরোনামহীন





আবার হাসিমুখ


সেই কবে ছিল উচ্ছ্বাস, কিছু শঙ্কায় ভরা চুম্বন
ছিল প্রেমিকার ঘন নিঃশ্বাস, হাসিমুখে ফোয়ারা।

এই অবেলায় ফোঁটা কাশফুল, নিয়তির মত নির্ভুল-
যেন আহত কোন যোদ্ধার বুকে বেঁচে থাকা এক মেঘফুল।
যদি ঘরে ফেরা পাখি নিশ্চুপ, হৃদয়ে ঢেউ ভাঙ্গে ছুপছুপ,
তবু জাহাজীর নাগরিক ঢেউ, অপরাধ মেনে নিয়ে কেউ কেউ,
যদি শোঁকগাথা হাতে বহূদুর যাও, একদিন ঠিকই এনে দেব হাসিমুখ।।

রোদ্দুর,
একসাথে হেঁটে হেঁটে যেতে চাই বহূদুর-
বুকের ভেতর ডানা ঝাপটায়, পাখি বেপরোয়া ভাংচুর।
তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,
তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই।

বুকের পাঁজড়ে ওড়ে প্রজাপতি, স্বপ্নের দিগন্ত রঙিন।
ইচ্ছে হলেই এনে দিতে পারে বেপরোয়া রোদ্দুর ঝলমল দিন।
প্রেমিকার মুখ রক্তিম ছিল রোদ উঠে গেছে তাই
তোমাদের নগরীতে, আমি আজও হেঁটে বেড়াই।।

বৃষ্টি ভেজা সুখ-দুখ, খোলা জানালায় হাসিমুখ
উড়ছে কিছু প্রজাপতি- মেঘ মনের জানালায়।
জানালায় ছিল রোদ্দুর, মেঘ ভেসে গেল বহূদুর
নগরের প্রিয় চিরকুট- সব জীবন ছেড়ে পালায়।
তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,
হেঁটে হেঁটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি জানালায়
তোমাদের যারা হাসিমুখে বহুদূর যেতে চায়;
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেঁটে যাই,
হেঁটে হেঁটে বহুদূর, বহুদূর …………








বৃষ্টিকাব্য

কোথায় যেনো বৃষ্টির রিমঝিম শোনা যায়
বইছে বাতাস, কাশফুল ছুঁয়ে শন-শন
বৃষ্টির উচ্ছ্বাস ছুঁয়ে যায় নাগরিক উপকূল।
রিমঝিম রিমঝিম নাচলো আমার মন
অনেকদিন, অপেক্ষায়, সমান্তরাল থেকেই গেলো জেব্রা ক্রসিং…

বৃষ্টির প্রার্থনায় কাশফুল নতজানু,
উড়ে চলে তৃষ্ণার্ত রঙহীন ফড়িং।

আজ জানালার বাওরে একঝাঁক বৃষ্টি রিমঝিম রিমঝিম
বইছে বাতাস, কাশফুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে…
রাস্তার সিগন্যালে কন্ডাকটর জেব্রা ক্রসিং
অনেকদিন হেরে যাওয়া মন দিলো ধুয়ে!

রাজপথে ছুটে যায় যান্ত্রিক ফড়িং আর রিক্সায় আঁকা পেইন্টিং
নাগরিক বৃষ্টির ছাতে রবীন্দ্রনাথ অসহায়
তাই কন্ডাকটর জেব্রা ক্রসিং।

প্রেমিকার উচ্ছ্বাসে “বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল”
যদিও করতেই হবে দান-
হৃদয়ের খুব কাছে জমে থাকা অভিমানে
নাগরিক বৃষ্টির এই গান?
অনেকযুগ অপেক্ষায় মেঘের ভেলায় ভেসে গেলো এই দিন…

বৃষ্টির প্রার্থনায় কাশফুল নতজানু,
উড়ে চলে তৃষ্ণার্ত রঙহীন ফড়িং।






কিছু কথা

কিছু কথা স্তব্ধ, কিছু বোকা শব্দ
কিছু কথা কখনো হারিয়ে যায়
উদাস কিছু দুপুর, কিছু ভেঙে যাওয়া সুর
কিছু সাদা প্রশ্ন আমায় ভাবায়
কিছু হাসিখেলা, কাঁদে সারাবেলা
উদাস পথে হয়ত একলা চলা
নিবিড় জনারন্যে, শুধু তোমার জন্যে
কিছু কথা কখনো হয়নি বলা…

বইয়ের পাতায় কিছু শব্দ খুঁজে পাই না
কিছু কিছু প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে আর চাই না
রূপকথার পঙ্খিরাজ একদিন নেমে আসবে
রাস্তার কালো পিচে সে স্বপ্ন নিয়ে ভাসবে
যান্ত্রিক এই নগর হয়ে যাবে অবসন্ন
কিছু কথা বলছি শুধু তোমার জন্য….

বদলে যাবার দিন স্বপ্ন দেখার দিন
কিছু কথা ভেসে যাক অন্ধকার রাস্তায়
মনের বন্ধ জানালায় স্বপ্নের কথা জমে থাক
কিছু কথা কখনো বাঁচতে শেখায়
কিছু হাসিখেলা কাঁদে সারাবেলা
অবাধ্য কিছু স্বপ্ন নিয়ে একলা চলা
নিবিড় জনারন্যে মেঘলা এই ক্ষণে
কিছু কথা কখনো হয়নি বলা…






পরী

তুমি উড়িয়া উড়িয়া যাও যে চলিয়া..
আমি চোখের জলেতে ভাসি
আমি অনল দহনে থাকি…

চাইনা আমি বিত্ত সমাজ অর্থ অহংকার
জীবন মাঝে চাইনি বলে নিত্য হাহাকার
তুমি আমার পথেরও শেষ
আকাশ নীলের হাসি
আমি তোমার স্বপনে ভাসি।

আমি অনল দহনে থাকি…

মনরে বাঁধি কি দিয়ে চাই, মনটা যে ক্লান্ত নাটাই
তোর আকাশে ঘুড্ডি কাটে, আপন মানুষ অন্য হাতে
তুমি আমার জলের আগুন, তুমি বিনে অনল ফাগুন
ভাসি আমি বনের জলে,অপার জীবন দহন কলে
সময় সিদ্ধ, সময় সত্য, সময় পারাপার উন্মত্ত
সময় বাঁধি কি দিয়ে আর একলা আকাশ এখন আমার

মনরে বাঁধি কি দিয়ে চাই
মনটা যে এক ক্লান্ত নাটাই
তোর আকাশে ঘুড্ডি কাটে,
আপন মানুষ অন্য ঘাটে।

তুমি উড়িয়া উড়িয়া যাও যে চলিয়া..
আমি চোখের জলেতে ভাসি
আমি অনল দহনে থাকি…








রোদ ক্যানভাস

মিথ্যে গল্প নয়
মিথ্যে স্বপ্ন নয়
ইচ্ছের ফড়িংরা বলে দেয় কি সত্যি হয়
একরাশ সুবাতাস
একমুঠো দীর্ঘশ্বাস
একই বিকেলে ভিজে যায় নীল আকাশ

আনমনে রোদ ক্যানভাসে ছবি আঁকা
অন্ধ হলেও বেঁচে থাক ভালোথাকা

নিশ্বাস ভবঘুরে ইচ্ছের প্রান্তরে
যদিও খুঁজে ফিরে কোনো চেনা ঠিকানা,
চিন্তার বাতিঘরে স্বপ্নেরা কড়া নারে
রোদ ক্যানভাস জুড়ে ইচ্ছের সীমানা।

যদি সময়ের জানালা ধরে আজন্ম স্বপ্ন সাজিয়ে যাই,
কখনো কি আর তারাদের আসরে ইচ্ছের সীমানা খুঁজে বেড়াই।

জানিনা কত কাল জেগে থাকি
কিভাবে সময়কে বেঁধে রাখি…

নিশ্বাস ভবঘুরে ইচ্ছের প্রান্তরে
যদিও খুঁজে ফিরে কোনো চেনা ঠিকানা,
চিন্তার বাতিঘরে স্বপ্নেরা কড়া নারে
রোদ ক্যানভাস জুড়ে ইচ্ছের সীমানা।







শন শন, যদিও কাশবন

শন শন যদিও কাশবন-
দুলছে মন দমকা হাওয়ায় সারাক্ষণ
মেঘের ইশারা চাই যখন,
টিপ টিপ বৃষ্টি নামবে স্বপ্ন ভাঙবে,
কিছুটা উচ্ছ্বাস ডেকে আনবে
হারিয়ে গেলেই প্রতিক্ষণ।

ঝোড়ো হাওয়া….ফিরে যাওয়া….তারাঢাকা অশ্রুহীন
আনবে কোনো সোনালী দিন
এই আকাশজুড়ে স্বপ্নপুড়ে,
ফিরছে যারা অনেকদূরে
দুচোখ জুড়ে স্বপ্নদিন।

সন্ধ্যা হলো আঁধার নামল সেই কখন
গল্পে গল্পে কেটে গেল সারাটাক্ষণ
মেঘের দেশে বৃষ্টি শেষে,
ভেসে ভেসে কোন সুদুরে
দমকা হাওয়ায় উড়ছে মন…

তবু সুযোগ পেলে দুহাত মেলে
সর্ব চোখে হারিয়ে গেলে,
ফিরবে কি আর সোনালী দিন…






আহত কিছু গল্প

কখনো কি তুমি আকাশকে বলেছ আমার কথা?
কখনো কি তুমি বাতাসকে ডেকেছ, জেনেছ, বুঝেছ আমার ব্যাথা, আকুলতা?
কখনো কি তুমি আমার, আমি তোমার বলে চিৎকার করে কাঁদনি?
তারাদের সামনে…
জেনেছি তুমি জানো, জেনে আমার জন্য নাহয় কিছুটা মানো…

কখনো কি তুমি আমার সঙ্গে হাঁটো?
হেঁটে যাই তবু অনন্ত পথঘাট…
কখনো কি পথ ভোলো, পথ চল ভেবে হতাশ হয়ে পড়োনি?
সময়ের সামনে…
জেনেছি তুমি জানো, জেনে আমার জন্য নাহয় কিছুটা মানো…
জেনেছি তুমি জানো, জেনে আমার জন্য নাহয় কিছুটা মানো…

সময় ছিল অল্প
জোছনা রাতে বৃষ্টি ভেজা আহত কিছু গল্প
মেলে স্বপ্ন ডানা
মেলে স্বপ্ন ডানা…

কখনো কি তুমি মনের আকাশে ভাসো?
অন্ধরাতে আমায় ভালবাসো?
কখনো কি তুমি ক্লান্ত, উদ্ভ্রান্ত মনে স্বপ্নের থেকে জাগোনি?
আমারই সামনে
জেনেছি তুমি জানো, জেনে আমার জন্য নাহয় কিছুটা মানো…






মিছিল

মিছিলের আর কিছু বাকি, কেও অধিকার খোঁজ নাকি
গণতান্ত্রিক রুপকথা সাইনবোর্ড হয়ে ঝুলে থাকি
অযথা হেঁটে যায় যারা, স্লোগান দিতেই দিশেহারা
গোলাপের বাগানে বারুদের উত্তাপ জ্বলা তারা

সহসা মিছিলে…সংলাপের দলে…আড্ডায় কোলাহলে

ঝড় উঠে তোলপার, কোন অধিকার বুঝে নেয়া মিছিলে সহসা
তাই হেঁটে হেঁটে যাই, পাল্টাতে চাই হেরে যাওয়া বিপন্ন ভরসা
দুহাতে রক্তের দাগ, হৃদয়ে বরফ, ভাঙছে না বিপ্লবী চেতনা
তাই দেয়াল লেখার মানচিত্রে খুঁজে ফিরি জীবনের ঠিকানা

সহসা একদিন তোমাদের না বলা কথা
মিছিলের স্লোগান হবে, ঝড় তুলে ভেঙে যাবে সব একাকার
স্লোগান এর আঘাতে কতকাল জেগে থাকা
অজস্র তারার ভীড়ে খুঁজে ফিরি তোমাদের অধিকার

চকচকে গ্লাসে লেগে আছে রক্তের টান
বন্দী জেগে থাকে দুচোখে অন্ধ স্বপ্ন নিয়ে
বাতাসে ভেসে যায় বারুদের তীব্র ঘ্রাণ
কতকাল হেরে যেতে হবে আর স্বপ্ন দেখতে গিয়ে…

সহসা মিছিলে…সংলাপের দলে…আড্ডায় কোলাহলে

ঝড় উঠে তোলপার, কোন অধিকার বুঝে নেয়া মিছিলে সহসা
তাই হেঁটে হেঁটে যাই, পাল্টাতে চাই হেরে যাওয়া বিপন্ন ভরসা
দুহাতে রক্তের দাগ, হৃদয়ে বরফ, ভাঙছে না বিপ্লবী চেতনা
তাই দেয়াল লেখার মানচিত্রে খুঁজে ফিরি জীবনের ঠিকানা






চিঠি

চিঠি পৌঁছে যাবে, শহর জোড়া
চিঠি পৌঁছে যাবে, সবুজ গ্রামে
চিঠি পৌঁছে যাবে, পৃথিবীর প্রান্তে
চিঠি পৌঁছে যাবে, রঙিন খামে

চিঠি পৌঁছে যাবে, মিছিলে মিছিলে
আসছে খবর হবে ক্ষিদের অবসান,
রুদ্ধ দারিদ্রের চির ঠিকানায়
চলে যাক চিঠি চেনা ভরসায়…

একটা চিঠি, যার বিবরণ ছিল লক্ষ্য শিশুর ইতিহাস
শিশুর দুচোখে কান্নায় লিখা ছিল ক্ষিদে মুক্তির বসবাস,
একটা রঙিন খামে ঠিকানা ছিল কোনো এক সবুজ গ্রাম
শিক্ষার সংলাপে দূর হয়ে যাবে দারিদ্রের অভিধান।

চিঠি পৌঁছে যাবে, ক্ষিদের ঠিকানা
চিঠি পৌঁছে যাবে, অপার আশায়
চিঠি পৌঁছে যাবে, মনের প্রান্তে
চিঠি পৌঁছে যাবে, ভালবাসায়

চিঠি পৌঁছে যাবে, মিছিলে মিছিলে
আসছে খবর হবে ক্ষিদের অবসান
রুদ্ধ দারিদ্রের চির ঠিকানায়
চলে যাক চিঠি সবুজ ভরসায়…

চিঠি পৌঁছে যাবে, মিছিলে মিছিলে
আসছে খবর হবে ক্ষিদের অবসান
অন্ধ দারিদ্রের চির ঠিকানায়
চলে যাক চিঠি সবুজ ভরসায়…







আততায়ী

সেদিন ঝড়ের রাতে আততায়ী খুন হয়ে গেল প্রেমিকার হাতে,
সেদিন মধ্য দুপুরে স্বপ্নের নায়ক থমকে গেল নগরীর পথে।

অজস্র তারার ভীড়ে দিশেহারা রাজপথে উড়ছে আসাদের শার্ট
অব্যর্থ নিশানায় তোমার শীতল চোখে,
বেপরোয়া উত্তাপে, ভেঙে চুরে আততায়ী রাত…

রক্তে ভেজা আসাদের শার্ট উড়ছে কফি শপে ঝাঁঝালো বাতাসে
আততায়ী নিঃশ্বাস হারিয়ে গেছে নিয়তির ঠিক আসেপাশে…

সেদিন অন্ধ নগরে গার্ড অফ অনার রক্তের দিনলিপি জাগিয়ে রাখে
এখনো ঝড়ের রাতে, বেপরোয়া হৃদয়ে প্রেমিকার নিঃশ্বাস থেমে থাকে…

যুদ্ধ আর বিপ্লব কি একই রকম অর্থ বোঝাতে পারে?
আততায়ীর দৃষ্টি শুন্যের কাছাকাছি…
নীল নকশায় আঁকা সম্ভাবনার কিছু অন্ধকারে
প্রেমিকার জ্বলে ওঠা সুতীক্ষ্ণ ফলায় রক্তের ফোয়ারা,
আসাদের শার্ট ছুঁয়ে দিতেও পারে
তবে কি আততায়ী খুন হয়ে যাবে-
শীতল দু-চোখের আজন্ম ভালোবাসার অভিসারে?

সেদিন ঝড়ের রাতে আততায়ী খুন হয়ে গেল প্রেমিকার হাতে,
সেদিন মধ্য দুপুরে স্বপ্নের নায়ক থমকে গেল নগরীর পথে।

Monday, November 11, 2013

রবীন্দ্রনাথ






এই এলবামের সমস্ত গান এখান থেকে ডাউনলোড করুন


গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ



গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে।
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে লুটিয়ে যায় ধুলায় রে।।
ও যে আমায় ঘরের বাহির করে,   পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে
মরি হায় হায় রে।
ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে; যায় রে কোন্ চুলায় রে।
ও যে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে,   কোন্খানে কী দায় ঠেকাবে–
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে  ভেবেই না কুলায় রে।।






সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে



সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে,  শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে,  সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,   না মানে সান্ত্বনা।।
সুখ-আশে দিশে দিশে বেড়ায় কাতরে–
মরীচিকা ধরিতে চায় এ মরুপ্রান্তরে।।
ফুরায় বেলা, ফুরায় খেলা, সন্ধ্যা হয়ে আসে–
কাঁদে তখন আকুল-মন, কাঁপে তরাসে।।
কী হবে গতি, বিশ্বপতি, শান্তি কোথা আছে–
তোমারে দাও, আশা পূরাও, তুমি এসো কাছে।। ।







শাওনগগনে ঘোর ঘনঘটা




শাওনগগনে ঘোর ঘনঘটা,  নিশীথযামিনী রে।
কুঞ্জপথে, সখি, কৈসে যাওব অবলা কামিনী রে।
উন্মদ পবনে যমুনা তর্জিত, ঘন ঘন গর্জিত মেহ।
দমকত বিদ্যুত, পথতরু লুন্ঠিত, থরহর কম্পিত দেহ
ঘন ঘন রিমঝিম, রিমঝিম রিমঝিম, বরখত নীরদপুঞ্জ।
শাল-পিয়ালে তাল-তমালে নিবিড়তিমিরময় কুঞ্জ।
কহ রে সজনী, এ দুরুযোগে কুঞ্জে নিরদয় কান
দারুণ বাঁশী কাহে বজায়ত সকরুণ রাধা নাম।
মোতিম হারে বেশ বনা দে, সীঁথি লগা দে ভালে।
উরহি বিলুন্ঠিত লোল চিকুর মম বাঁধহ চম্পকমালে।
গহন রয়নমে ন যাও, বালা, নওলকিশোরক পাশ।
গরজে ঘন ঘন, বহু ডর পাওব, কহে ভানু তব দাস।।







ফুলে ফুলে



ফুলে ফুলে ঢ'লে ঢ'লে বহে কিবা মৃদু বায় ,
তটিনী হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায়।
পিক কিবা কুঞ্জে কুঞ্জে কুহু কুহু কুহু গায় ,
কী জানি কিসেরই লাগি প্রাণ করে হায় - হায়।।







কিছু বলব বলে এসেছিলেম



কিছু বলব বলে এসেছিলেম,
রইনু চেয়ে না বলে।।
দেখিলাম, খোলা বাতায়নে মালা গাঁথ আপন-মনে,
গাও গুন্-গুন্ গুঞ্জরিয়া যূথীকুঁড়ি নিয়ে কোলে।।
সারা আকাশ তোমার দিকে
চেয়ে ছিল অনিমিখে।
মেঘ-ছেঁড়া আলো এসে পড়েছিল কালো কেশে,
বাদল-মেঘে মৃদুল হাওয়ায় অলক দোলে।।






পুরানো সেই দিনের কথা



পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়। 
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।
আয় আর-একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়।
মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়।
মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়–
বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি বকুলের তলায়।
হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে কোথায়–
আবার দেখা যদি হল, সখা, প্রাণের মাঝে আয়।








যেতে যেতে একলা পথে



যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি।
ঝড় এসেছে ওরে ওরে, ঝড় এসেছে ওরে এবার
ঝড়কে পেলেম সাথি॥
আকাশকোণে সর্বনেশে ক্ষণে ক্ষণে উঠছে হেসে,
প্রলয় আমার কেশে বেশে করছে মাতামাতি॥
যে পথ দিয়ে যেতেছিলেম ভুলিয়ে দিল তারে,
আবার কোথা চলতে হবে গভীর অন্ধকারে।
বুঝি বা এই বজ্ররবে নূতন পথের বার্তা কবে—
কোন্ পুরীতে গিয়ে তবে প্রভাত হবে রাতি॥







তুমি কি কেবলই ছবি



তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা।
ওই-যে সুদূর নীহারিকা
যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়,
ওই যারা দিনরাত্রি
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী  গ্রহ তারা রবি,
তুমি কি তাদের মত সত্য নও।
হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি।।
নয়নসমুখে তুমি নাই,
নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই– আজি তাই
শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল।
আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল।
নাহি জানি, কেহ নাহি জানে–
তব সুর বাজে মোর গানে,
কবির অন্তরে তুমি কবি–
নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি।।






শুধু তোমার বাণী নয় গো



শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়,
মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো॥
সারা পথের ক্লান্তি আমার সারা দিনের তৃষা
কেমন করে মেটাব যে খুঁজে না পাই দিশা—
এ আঁধার যে পূর্ণ তোমায় সেই কথা বলিয়ো॥
হৃদয় আমার চায় যে দিতে, কেবল নিতে নয়,
বয়ে বয়ে বেড়ায় সে তার যা-কিছু সঞ্চয়।
হাতখানি ওই বাড়িয়ে আনো, দাও গো আমার হাতে—
ধরব তারে, ভরব তারে, রাখব তারে সাথে,
একলা পথের চলা আমার করব রমণীয়॥

বন্ধ জানালা





এই এলবামের সমস্ত গান এখান থেকে ডাউনলোড করুন



বন্ধ জানালা

কথা: জিয়া
সুর : জিয়া
আরেকবার যেতে চাই রিম ঝিম ঝিম সুদূরপুর
অবাক রোদ ভেজা তপ্ত দুপুর
আরেকবার তোমাদের লাল, নীল রং আনন্দে
একলা রাস্তায় এক চিলতে রোদ্দুর।
সারা বেলা বন্ধ জানালা ......


যদি তোমাদের অনেক শব্দ, আমার জানালায়
ছোট ছোট আনন্দের স্পর্শে, আঙ্গুল রেখে যায়
যদি সহস্র শব্দের উৎসব থেমে যায়
সারা বেলা বন্ধ জানালা ......



যদি তোমাদের লাল নীল গল্প আমার শরীরে,
কোন একলা রাস্তায় অবাক ভ্রমণে
যদি ইচ্ছের নীল রং আকাশ ছুঁয়ে যায়
সারা বেলা বন্ধ জানালা ......







ভালবাসা মেঘ

কথা: জিয়া/কাঠুরিয়া
সুর : জিয়া
মেঘ ঝড়ে ঝড়ে বৃষ্টি নামে,
বৃষ্টির নাম জল হয়ে যায়
জল উড়ে উড়ে আকাশের গায়ে
ভালবাসা নিয়ে বৃষ্টি সাজায়
ইচ্ছে গুলো ভবঘুরে হয়ে, চেনা অচেনা হিসেব মেলায়
ভালবাসা তাই ভিজে একাকার, ভেজা মন থাকে রোদের আশায়
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।
চুপি চুপি রোদ, উঁচু নীচু মেঘ, সারি সারি গাড়ি
দূরে দূরে বাড়ি......
নিভু নিভু আলো, চুপ চাপ সব কনকনে শীত
ছম ছমে ভয়......
সংলাপ সব পড়ে থাক, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক
ভালবাসা মেঘ হয়ে যাক।
ঘুরে ঘুরে যদি, দূরে দূরে তবু মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।
মেঘ ঝড়ে ঝড়ে ...... জল উড়ে উড়ে .....
ভালবাসা তাই ...... ভেজা মন থাক .....
ঝিরি ঝিরি হাওয়া কৃষ্ণচূড়ায়, লাল লাল ফুলে,
ছুটে ছুটে চলা ......
আধো আলো ছায়া, গুণ গুণ গাওয়া
পুরনো দিনের গল্প বলা ......
সংলাপ সব পড়ে থাকে, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক
ভালবাসা মেঘ হয়ে থাক।
ঘরে ফেরা পথে, নিরবে নিভৃতে মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।








বুলেট কিংবা কবিতা

কথা: জিয়া
সুর : জিয়া
নিয়ন আলোর রাজপথে টিএসসির মোড়ে চায়ের দোকানে
বুলেট কিংবা কবিতায়, যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায়......
মাঝে মাঝে সবুজ পতাকা, দু’হাতের মাঝে বন্দী
অজস্র কবিতায় আর গানে, জ্বলে জ্বলে নিঃশেষ
কবি আর কবিতা রাজপথ ছুঁয়ে যায়
কতশত কবি এমনই এক টিএসসির মোড়ে
প্রতিরাতের উদাস চাঁদ দেয়াল লেখা থেকে দুঃখ কেনে
যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায়
অসময়ে, অন্ধকারে, দেয়াল জুড়ে বর্ণমালার মিছিল,
ক্লান্ত করুণ চোখে ......শ্লোগান শ্লোগান আর মিছিলের নগরে, টিএসসির নিঃশ্বাস
বুলেট কিংবা কবিতার খাতায়, কবি আর কবিতার খুন হওয়ার আশ্বাস
দেয়াল লেখা থেকে বর্ণমালা যদি আলোর মিছিল হয়ে যায়
টিএসসির মোড়, রাতের রাজপথ বুলেট কিংবা কবিতায়
যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায় ......
মৃত কবিদের কবিতার আসরে, ছবি হয়ে থাকেনা রাতের রাজপথ
পল্টন ময়দান, টিএসসির মোড়, জনসমাবেশ আর বিশাল অবরোধ
এই অবসরে দেয়াল লেখা যদি মানচিত্র হয়ে যায়
অজস্র কবিতার জনসমাবেশ থেকে বুলেট কিংবা কবিতায়
যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায় ......








সূর্য

কথা: তুহিন
সুর : তুষার
অচিন পাখি দিল ফাঁকি, উদাস বাউল কাকে ডাকি 
জলের মাঝে জীবনগুলো, তেপান্তরের পাথর ধুলো 
সাগর তীরের জীবন দেয়াল, 
সূর্যটাকে রাখিস খেয়াল ......
গাছের চূড়ায় নতুন শহর, নদী পানি ফুলের বহর 
সময় কাঁটা আতশবাজি, কাঁটাতারে বৃক্ষরাজি 
স্বপ্ন দহণ পূণ্য না সয় 
সত্যবচন ধর্মে না রয় ......
কথার মাঝে নোনা দেয়াল 
সূর্যটাকে রাখিস খেয়াল ......
কল্প সাধন মাতাল হাওয়া, আপন পথে হারিয়ে যাওয়া 
জীবন দেখার অবাক টানে, সরল রেখার অন্য মানে 
তোমার আমার কাঁচের দেয়াল 
সূর্যটাকে রাখিস খেয়াল ......







একা

কথা: তুষার
সুর : তুষার
রাত্রি ক্লান্ত জীর্ন শীর্ন আঁধো চাঁদের আলো
পিচ ঢালা পথ কখনো ধূসর কখনও বা কালোসারাটা পথ জুড়ে আমি একা
হেটে যাই আকাশ তারার পানে চেয়ে
নীল জোছনায় স্মৃতিরো ভীড়ে
হারিয়ে যায় মন আধারে।
আধাঁর রাতে নেমে আসে শিশিরের ছায়া
নিভে গেছে দূর কোন স্মৃতিরও মায়া
নিঃসীম চারপাশ কোনো সাড়া নেই
তবু এক দীপ্তি রয়ে গেছে.....
যত দূরে যেতে চাই  নিলীমার পথে
আরো দূরে সরে যায় রাতের আকাশে
চুপচাপ শহরে নিশ্বাস ফেলে আসি
এই নিরব বাতাসে ........







সহসা দ্বীপ

কথা: তুষার
সুর : তুষার
মনে পড়ে ...... পড়ে না 
মনে পড়ে ...... পড়ে না
সহসা চলে যাই, উদাস স্মৃতির কাব্য ছুঁয়ে, 
ছুটে চলা, অবাক জল রাশির সীমানায় 
সহসা দ্বীপ ......
ধুলোর মিছিলে, মেঘ ঘন বিকেলে 
ক্লান্তি সরিয়ে দেখি, সে
কি বিষ্ময়ে, মনে পড়ে ? 
ধুলোর মিছিলে নিঃশ্চুপ বিকেলে 
বৃষ্টি নামবে বুঝি
দিগন্ত ছাড়িয়, মনে পড়ে ? 
অবাক জলধারার সেই 
সহসা দ্বীপ ......
মেঘের আড়ালে, রোদ জ্বলা বিকেলে 
স্নিগ্ধ পাখির ঝাকে, সে কি বিষ্ময়ে
মনে পড়ে ? 
পূবের আকাশে, সাত রঙা ক্যানভাসে 
জেগে থাকা বালি দ্বীপ, এই নীল সাগরে, মনে পড়ে ?

অবাক জলধারার সেই 
সহসা দ্বীপ ..........








বাস স্টপেজ

কথা:জিয়া 
সুর: জিয়া
নার্সারি ছারিয়ে, চৌরাস্তার মোড়ে
বাস স্টপেজ...... ফুলস্টপ হয়ে দাঁড়িয়ে
বুকে জমা পোষ্টার- আর্ট গ্যালারির মতো উদাসীন
বখাটে কারো সেল নাম্বার- বিজ্ঞাপন হয়ে বিব্রতকড়া পারফিউম অযথা সুবাস বাতাসে
ক্লান্তিহীন ছুটছে কিছু বিরতিহীন বাস
চকচকে পিচে বেরসিক বৃষ্টি নাম লিখে গেছে
সন্ধানী হকার খুঁজে বেড়ায় গাড়ীযাত্রী কোনো হাসিমুখ
এই সন্ধায়, রাস্তায়, দাঁড়িয়ে আছে
কিছু স্বপ্ন বিক্রি করে যারা
জানলোনা কিছুতেই, ঝুলছে আকাশভরা তারা ।।
কিশোরীর হাতে ফুলের সুবাস, ছুঁয়ে দিতে চায় চকচকে গ্লাস
বৃষ্টির ছাঁটে ভেজা পলিথিন, মিরপুর যাবে বিরতিহীন
বিবর্ণ ঠোঁটে সাইনবোর্ড হাসি, বলছে প্রেমিকা “তোমায় ভালবাসি”
চাক্ষুস সাক্ষী রাস্তার মোড়ে, নার্সারি ছারিয়ে একটু দূরেবিজ্ঞাপন হয় এক্স সুন্দরী
বাস স্টপেজে আসে ইচ্ছে ঘুড়ি
বিক্রি হয় কতো কমিক কমিক সিরিজ
উদাস বিজ্ঞাপনে কাঁটে পণ্য রিলিজ
এই সন্ধায়, রাস্তায়, দাঁড়িয়ে আছে
কিছু স্বপ্ন বিক্রি করে যারা
জানলোনা কিছুতেই, ঝুলছে আকাশভরা তারা
।।









সুপ্রভাত

কথা: জিয়া
সুর : তুষার
একদিন হাঁটছি আমরা ক’জন 
আমাদের কেউ কেউ উচ্ছাসে, এই শুভ্র সকালে 
ধুলোমাখা পথঘাট, ধুলোমাখা শরীর 
ধুলোয় ধূসর আমরা ক’জন 
এই সকালে, রাস্তায় হাঁটছি ......
সুপ্রভাত একদিন আমাদের ......
দ্বিধাহীন ভোর আসে, ফুটপাতে 
ধুলোময় দোকানে খবরের কাগজে ...... 
খেয়ালী কোলাহলে জমে ওঠে 
শহরের রাজপথে যান্রিক কোন সুরে 
এই ঝড়ো সংলাপে, 
এই সুপ্রভাত, রুক্ষ চায়ের কাপে ......
একদিন হাঁটছি আমরা ক’জন 
আমাদের কেউ কেউ উচ্ছাসে, এই রোদেলা দুপুরে 
ধুলোমাখা পথঘাট, ধুলোমাখা শরীর 
ধুলোয় ধূসর আমরা ক’জন 
ঠিক দুপুরে, রাস্তায় হাঁটছি ...... 
              ৩ 
সুপ্রভাত একদিন আমাদের .....








পরিচয়

কথা: তুহিন
সুর : তুহিন
দেহের ভিতর রাখলাম যারে, সে আমার থাকল না রে 
খাঁচার পাখি কখন কি আর
মনের পাখি হয় ? 
তোমার আমার এই পরিচয় 
সত্যি কি আর হয়।
কথায় কথায় মনের ছায়া, মিথ্যে আশায় দিচ্ছে মায়া 
অবাক আলোয় বনের পাখি, মনের কথা কয় 
বনের পাখি খাঁচায় থাকে, এমন কি আর হয়
তোমার আমার এই পরিচয় 
সত্যি কি আর হয়।
লালন বলে খাঁচার কি দোষ, দুয়ার থাকলে খোলা 
মনের দুয়ার বন্ধ হলে, সময় যে সব যাবে চলে 
লোহার খাঁচার ছোট্ট ঘরে 
কোন পাখি কি আর রয় ?
আট কুঠুরি নয় দরজা, সে তো খোলার নয় ......
তোমার আমার এই পরিচয় 
সত্যি হবার নয়।








বাংলাদেশ

কথা: জিয়া/শাফিন
সুর : শাফিন/জিয়া
যখন কিশোরীর হাতে সূতোয় বোনা সবুজ গ্রাম 
যখন রং তুলিতে আঁকা বাংলার মুখ অবিরাম 
যখন গাই এখানেই শুধু শরতের রং এ হয় শেষ 
সেই শুভ্র কাঁশফুল ঘিরে দেখে যাই সবুজের দেশ
মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল 
মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ 
যেখানে লাল সূর্যের রংয়ে রাজপথে মিছিল 
যেখানে কুয়াশার চাঁদর আকাশ থাকে নীল 
যেখানে রিম ঝিম বৃষ্টি শুকনো মাটির টানে 
অবিরাম ঝড়ে সবুজ সাজায় ......
মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল 
মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ
যখন এক চোখে ঘুম ঘুম, এক চোখে নীল রাত 
আমায় ভাবিয়ে যায় 
যখন এক হাতে রোদ্দুর এক হাতে গোলাপ 
সবুজ ছুঁয়ে ভাবায় আমায় 
একদিকে নীল নীল, এক দিকে কাঁশফুল, দু’চোখ যেখানে শেষ 
এক প্রান্তে সবুজ, এক প্রান্তে লাল,
আমার বাংলাদেশ ......

ইচ্ছে ঘুড়ি





এই এলবামের সমস্ত গান এখান থেকে ডাউনলোড করুন


বরষা

কথা: ফারহানতুহীন
সুর: তুষার
বরষা মানেনা
ঝরছে জলধারা,জানিনা, জানিনা-কাটবে কি ঘনঘটা।

অনুনয় মানেনা অবারিত মনকথা,
জানিনা,
জানিনা-থামবে কি ঘনঘটা
নির্ঝর গগনে, অপলক চেয়ে রই
বিস্মৃত কবিতা, আনকা পবনে-
মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়নবলে যায়

 “তোমায় অনব ভালবাসি”।দিপীকা সায়রে

অনিমেষ চেয়ে রই
মিথিলা বরষা, অলোক দহনে-
মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন
বলে যায় “তোমায় অনব ভালবাসি”।
বরষা মানেনা
ঝরছে জলধারা......





পাখি

কথা:জিয়া
সুর:জিয়া
একা পাখি বসে আছে শহুরে দেয়ালে
শীষ দিয়ে গান গায় ধূসর খেয়ালে
তার ফেলে যাওয়া আনমনা শীষ, এই শহরের সব রাস্তায়
ধোঁয়াটে বাতাসে, নালিশ রেখে যায়।।
আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু
পাখি আনমনা বসে দেয়ালে, পাখি নির্বাক চোখ রাস্তায়,
ধোঁয়াটে শহরের উষ্ণতা বাড়েনা,
তার আনমনা চোখ, অবুঝ চোখ মনের দরজায়, আঙুল রাখেনা।
কিছু সুর তুমি এনে দাও পাখি নাগরিক কোলাহলে
তুমি গান গাও, তুমি শীষ দাও এই শহুরে দেয়ালে
তুমি ভুলে যাও এই শহরের যত ব্যস্ত জনকথা
আমি এসেছি তোমার কাছে এনে দাও স্বাধীনতা।
দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি তোমার পিছু
আমি দেখিনি, আমি শুনিনি, আমি বলিনি অনেক কিছু
আমি জানিনি, আমি বুঝিনি, তবু ছুটেছি...... তোমার পিছু।







ক্যাফেটেরিয়া

কথা:জিয়া
সুর: তুষার/জিয়া
পড়ন্ত বিকেল ক্যাফেটেরিয়া
উঁকি দিয়ে দেখি,
এক কাপ চা, গরম তৃষ্ণায়
অজস্র এলোমেলো শব্দের ভীড়ে

তোমার শীতল চোখ ভিজিয়ে যায় আমায়।যেখানে তোমার ঠোঁট ভালবাসা
আমি বুড়ো কবিতার মত চুপচাপ।
যেখানে তোমার চোখ খুনী
আমি খুন হই...... প্রতিদিন।







স্বদেশ

কথা: ফারহান
সুর: ফারহান/তুষার
বলেছিলে তুমি আমায়
“এসো, নাও নূতন ভোরের আলো”
দিয়েছিলে শতাব্দীর অবগাহন,
এক মুক্ত সময়ের আহবান।বলেছিলে তুমি আমায়
“জাগো, শোনো আমার কন্ঠনিষাদ”
দিয়েছিলে অভ্র কোনদিনে,
রোদ গন্ধমাখা জীবন।
বলেছিলে “অপেক্ষা কর, জেনো,
কাটবেই কৃষ্ণপ্রহর”
তবু জেগে দেখি কাঁদছে মানুষ
পুড়ছে আমার স্বদেশ।
আর একটিবার তোমায়
দেখতে চাই, দেখতে চাই।
জেনে রেখো অন্ধকার কোনো কালে হারিয়েছি
আমার অতীত
কবে পাবো অর্থময় নীরবতা,
কবে আসবে স্বাধীনতা।
কবে পাবো নীরজা তোমায়, আসবে আলোক প্রহর-
তবু জেগে দেখি কাঁদছে মানুষ, পুড়ছে আমার স্বদেশ
আর একটিবার তোমায় দেখতে চাই, দেখতে চাই।
আঁধার ভাঙা স্বপ্ন হতে জাগাই
তুমি আসবে বলে মহাকাল স্তব্ধ
কাদের তরে আমার বাঁচা, আমার লড়াই
এখনো তোমার প্রিয়মুখ আমায় বাঁচায়
জানি মুক্তি তোমাতে।







ভবঘুরে ঝড়

কথা:জিয়া
সুর: জিয়া
চৌরাস্তার উঁচু ল্যাম্পপোস্ট ছাড়িয়ে,
নিঃশ্বাস নিয়ে একটু দাঁড়িয়ে
চারিপাশে বিমূর্ত রেখায়,
আমি, ভবঘুরে ঝড়, তোমাদের খুব কাছে
ছায়া হয়ে যাই,
তোমাদের ভালোবাসা......শনশন উত্তাল হাওয়ায়,
চৌরাস্তার ল্যাম্পপোস্ট হাঁপায়
এক কাপ গরম চায়ে,
আমি, ভবঘুরে ঝড়,
তোমাদের খুব কাছে
ভিজে একাকার,
তোমাদের ভালোবাসা......
কখনো তোমাদের অজানা জানায়
বাউন্ডুলে ঝড় আমায় ভাবায়......
তোমাদের ছায়ায়,
নির্বাক ভালোবাসা
আমি আজন্ম ভবঘুরে......
ঝড় নিয়ে আসি।





রূপসী নগর

কথা:জিয়া/তুহীন
সুর: তুষার
আবার হবে দেখা,
তোমাদের এই অচিন নগরে
সহসা ধূসর ধুলোর ভীড়ে
অচেনা রূপসী নগরে......
আবার হতে পারে দেখা।আবার হবে কথা,
অনেকের এই প্রিয় নগরে
অনেক হারাবার প্রান্তরে
অজানা রূপসী নগরে......
আবার হতে পারে দেখা।
রূপসী উষ্ণ এ পথে,
নির্বাক সব কথার ভীড়ে
ধূলোয় ধুলো প্রান্তরে,
দেখা আবার হতে পারে
হেঁটে যাই আমি।
ধূসর ছাড়িয়ে।
দেখা হবে সবুজ আশায়......








নিঃসঙ্গ

কথা: তুষার
সুর: তুষার
দীর্ঘশ্বাস তোমার রুক্ষ দেয়াল ছুঁয়ে
বিবর্ণ রাত্রি কাটে বিমূর্ত সময়
প্রার্থনা তোমার হারিয়ে যায় অন্ধকারে
স্তব্ধ এই বদ্ধঘরে অস্পষ্ট স্বরেনিঃসঙ্গ একা তুমি
ক্লান্ত... জীর্ন তুমি
অন্ধ দেয়াল জুড়ে
দুঃস্বপ্ন আছড়ে পড়ে।
পারবে কি ভেঙে দিতে এই দেয়াল?
পারবে কি ছেড়ে যেতে এই বাঁধন?
ধূলোমাখা জানালার আলো ছাড়িয়ে
পারবে কি ফিরে যেতে আবার?
আর্তনাদ তোমার বিদগ্ধ এ মন জুড়ে
প্রতিধ্বনি করে চুপিসারে
স্বপ্নগুলো কেন জড়িয়ে যায়ে এ মায়াজালে
দুঃসহ যন্ত্রনাতে, অশান্ত ঝড়ে
নিঃসঙ্গ একা তুমি
ক্লান্ত... জীর্ন তুমি
অন্ধ দেয়াল জুড়ে
দুঃস্বপ্ন আছড়ে পড়ে।








অন্যকেউ

কথা: ফারহান
সুর: ফারহান
আমি না অন্যকেউ নিয়ে যায় তোমায়
যেখানে অবিরত ভেঙে পড়ে সময়;
আমি না অন্যকেউ নীরবে বাঁচে
রক্তসিদুঁর আঁকে যেথা নবআশা;
আমি না অন্যকেউ নিয়ে যায়
আমার কন্ঠ হতে প্রতিবাদ প্রলয়।তুমি না অন্যকেউ মোর শয্যাতে
জেগে দেখি পূব কোনে তমসা ক্ষয়
তুমি না অন্যকেউ ফিরে আসে আর
ডেকে তোলে বৃত্তবন্দী মন।
সঙ্গী তুমি সোনালী ভোরে অজানা কোনো আলো
আলোয় ভরা আনন্দলোকে নিঃস্ব প্রাতে চলো
তবু জেগে উঠো, বেঁচে উঠো, গেয়ে উঠো আমার এ গান-
তুমি না অন্যকেউ শিয়রে কাঁদে, অধরা ছায়া শূন্যমাঝে ভেঙে পড়ে
তুমি না অন্যকেউ মেলে দেয়
ভোরের আকাশে সোনালীডানা চিল।
যাবে কি তুমি মোর সাথে?
আকাশ উর্ধ্বে ঐ নীল মাঝে,
যেথা অন্ধ বিশ্ব খোঁজে তোমাকে
যাবে কি তুমি মোর সাথে?








অনেক আশা নিয়ে

কথা: জিয়া
সুর: জিয়া
অনেক সবুজের প্রান্তে তুমি থাকো একাকী
আমি ধূসর, ধূসর হয়ে জেগে থাকি।
অনেক মানুষের ভীড়েও তুমি থাকো একাকী
আমি অনেক আশা নিয়ে বসে থাকি।হেরে যেতে যেতে যদি থমকে,
এক নিঃশ্বাসে সব পেরিয়ে
রোদ ঝলমলে এক দুপুরে,
যদি ঘুম সব ঘুম ভেঙে যায়
আমি অনেক আশা নিয়ে জেগে থাকি।
দরজার বাইরে রঙীন পৃথিবী,
ধূলো ধূলোমাখা দাঁড়িয়ে আছে
ঝড়ের আশায় তোমার শহরে,
শিরোনামহীন ফুটপাত ঘুমিয়ে গেছে।
একদিন এই ঝড়, তোমার এই শহরে,
ভেজায় যায় সব জানালা তবু আমি বসে আছি।
অনেক মানুষের ভীড়েও তুমি থাকো একাকী।
আমি অনেক আশা নিয়ে জেগে থাকি।








ইচ্ছে ঘুড়ি

কথা: জিয়া
সুর: জিয়া
এই হাওয়ায় ওড়াও তুমি, তোমার যত ইচ্ছে ঘুড়ি
চুপি চুপি মেঘের মেলা, তোমার আকাশ করছে চুরি
সূর্য বসাও আকাশের নীল, ইচ্ছের রঙ গোলাপী হলে
দিগন্ত রেখায় সূর্য নামে, ব্যস্ত সময় যাচ্ছে চলে।
হঠাৎ খেয়ালী এ ঝড়ো হাওয়ায়,
উড়ছে তোমার ইচ্ছে ঘুড়ি
ওড়াও ওড়াও সুতোর টানে,
আকাশের নীল যাচ্ছে চুরি।শুভ্র সেই মেঘের ভীড়ে, তোমার সব ইচ্ছে ওড়ে।
আকাশ খেয়ালী মনে, হারায় কিছুই না জেনে।
তোমার সুতোয় বাঁধা আকাশ,
ঝড়ো হাওয়ায় রঙ হারালে
নির্বাক। ইচ্ছে। আচমকা। দিশেহারা......
এই আলোয় হাঁটছো একা, সঙ্গী কর আমায় তুমি।
বেয়াড়া যত মেঘের ছায়া, করছে চুরি স্বপ্নভূমি
নীলের আকাশ গোলাপী হলে, ইচ্ছে ঘুড়ি যাচ্ছে চলে
সূতোর বাঁধা ছাড়িয়ে আকাশ, অন্য ভূবন দেখবে বলে।
হঠাৎ খেয়ালী এ ঝড়ো হাওয়ায়,
ভাঙছে তোমার মেঘলা রেখা
ওড়াও ওড়াও সুতোর টানে,
আকাশ আবার হবে যে দেখা ।







দ্বিতীয় জীবন

কথা:তুষার/ফারহান/জিয়া
সুর: তুষার
অদৃশ্য চাদরে, দিগন্ত রেখায় বসে আছে সে,
অসংখ্য অনাবিল, পথ পেরিয়ে আশার স্মৃতির ভীড়ে-
রূপালী চাঁদের আলোয় জড়িয়ে থাকা সেই পিচঢালা পথ,
বিষন্ন চারিধার, ছড়িয়ে থাকা মৃদু কুয়াশা-বিষন্ন ধোঁয়াশায় ধূসর স্মৃতি ঘিরে আছে, তাকে,
আঁধার লহরীর নীল সাজানো আকাশ ছুঁয়ে
জোছনা ভাঙা বালুচরে হারিয়ে যাওয়া,
মনে পড়ে যায় ফেলে আসা পথ পেরিয়ে, সোনালী প্রহর
তবুও সবুজ পথ পেরিয়ে, অসীম ছায়াপথ নিমেষে ছাড়িয়ে,
অবাক বিস্ময়ে।
জীবন স্নৃতি যেন এলোমেলো হয়ে উড়ে যায় একই পলকে,
একই নিমেষে।
তোমায় স্বাগত জানাই, ঝড়া পাতার মত সন্ধ্যায়,
আলোময় বিচরন, দ্বিতীয় জীবন,
ছায়াময় মননে, অবাক নয়নে,
ছায়া সুনিবিড়, বিস্ময়ে দেখি,
দ্বিতীয় জীবন, দ্বিতীয় জীবন।

সর্বাধিক দেখা পোস্ট